গতকাল ১ বিরল অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হলাম।
মোটরবাইকে গাজীপুরের সাফারী পার্কে যাচ্ছিলাম সারথীদের কল্যাণার্থে। পথিমধ্যে জনকল্যাণ মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে। মাথাকে বোঝালাম, হাতে সময় কম। আপাতত কল্যাণের চিন্তা না করলেই ভালো হয়। তারপরো সে দ্রুত ভেবে সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেয় জিহ্বাকে।
- "বাচ্চার পা চাকায় ঢুকে যাচ্ছে, বাচ্চার পা চাকায় ঢুকে যাচ্ছে।"
আমাদের সামনের বাইকে থাকা চালক পুরুষ এবং পেছনের মহিলা যাত্রীর মাঝে থাকা ৭-৮ বছরের বাচ্চাটির বিষয়ে এমন করে চিল্লাচ্ছিলাম। তাদের মাঝে কোন ভাবান্তর না দেখে হাতের ইশারায় গাড়ি থামিয়ে পরিস্থিতি দেখতে বলি। পুরুষটি থামাতে চাইলেও মহিলা তাড়া দেন চালিয়ে যেতে, এমনকি জোরে চালাতে বাধ্য করেন।
কিছুদূর এগিয়ে একটি বাজারে আমাদের পথ রোধ করেন তারা। তারপরের ঘটনা এতোটা ভিন্ন হবে, ভাবতে গা-হাত-পা হিম হয়ে আসে আমার। কোনভাবেই বোঝাতে পারছিলাম না যে, আমরা ছিনতাইকারী নই! এমনকি পুলিশে পর্যন্ত ফোন করা শুরু করেন তারা। লোক জড়ো হয় শ'খানেক।
তাদের পাশাপাশি অনেকেই হেনস্থা করার উদ্যোগ নেন আমাদের। স্থানীয় বিচক্ষণ কয়েকজন তাৎক্ষণিক অবস্থাটা বুঝতে পারেন। পরিস্থিতি আঁচ করে দ্রুত আমাদের বের করে দেন সেখান থেকে।
তখন থেকে সারাদিন খুব অস্বস্তির মধ্যে কাঁটে। মানসিক আঘাতটা দূর করতে পারছিলাম না।
রাতে জ্বর আসে।
পরোপকারের প্রতিফল পূর্ণরূপে প্রদান করতে পারলেই হয়তো মহিলা খুশি হতেন। খবরের ফেরিওয়ালারাও চমৎকার একটা স্টোরি পেতেন।
জীবন মরণাপন্ন হলেও উপকার গ্রহণ করতে ভাবতে হয়।
#কতোটা_অসহায়_মানুষ!
মন্তব্য