ইসলামী আন্দোলনের কর্মীদের জন্য কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ; বিশেষ করে ইসলামী ছাত্রশিবিরের জনশক্তিদের জন্য।
পাঠাভ্যাস বৃদ্ধি :
- কুরআন নাযিলের সময় আল্লাহ তায়ালা সর্বপ্রথম বান্দাকে পড়তে বলেছেন। (সূরা আল-আলাক : ১-৫)
-তথ্যতে সমৃদ্ধি, যোগ্যতা ও দক্ষতার মুলমন্ত্র হলো অধ্যয়ন।
ইলম/জ্ঞান অর্জন :
-জ্ঞানের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ শিখরে আরোহন করার প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখা। (সুরা যুমার : ৯)
-জ্ঞানের জগতে যারা শ্রেষ্ঠ, তারাই পৃথিবীকে নেতৃত্ব দেয়।
-নৈতিক শক্তি, ইসলামী নৈতিকতা ও জাগতিক শক্তি অর্জনের প্রথম ধাপ জ্ঞান অর্জন। (ইসলামী আন্দোলনের নৈতিক ভিত্তি বই)
মোয়ামালাত :
-ইসলামী আন্দোলনে কর্মীদের সাথে পারস্পারিক সম্পর্ক হচ্ছে আদর্শিক সম্পর্ক। এই সম্পর্কের ভিত্তি হলো ভ্রাতৃত্ব।
রাসূলুল্লাহ সা.বলেন ‘অশোভন-অশ্লীল কথা ও আচরণের সঙ্গে ইসলামের কোনো সম্পর্ক নেই। আর যার আচরণ যত সুন্দর তার ইসলাম তত সুন্দর।' (মুসনাদে আহমদ)
আমল :
-আমলের ক্ষেত্রে পরিশুদ্ধ আমল ও পবিত্র জীবন যাপন ইসলামী আন্দোলনের কর্মীদের জন্য বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
قَدْ أَفْلَحَ مَن زَكّٰىهَا
নিঃসন্দেহে সে সফলকাম হয়েছে, যে তাকে পরিশুদ্ধ করেছে।
দক্ষ ও যোগ্য হওয়ার :
-একুশ শতকের চ্যালঞ্জ মোকাবিলায় ইসলামের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করার জন্য প্রত্যেক জনশক্তিকে Academic Excellency বা শিক্ষাগত যোগ্যতা, Language proficiency বা ভাষাগত দক্ষতা এবং IT Efficiency বা তথ্যপ্রযুক্তিগত জ্ঞানে দক্ষ হতে হবে।
জাতিকে নেতৃত্ব দেওয়ার যোগ্যতা অর্জন :
-আমরা যে সমাজে বসবাস করি সে সমাজের মধ্যে নিজেকে সৎ ও নৈতিকতা সম্পন্ন মানুষ হিসেবে প্রমানিত করতে হবে। পাশাপাশি নিজেকে জনসেবা, সমাজসেবা, মানবেসবা, তথ্যসেবা বা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকতার মত রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ পদে আসীন হওয়ার জন্য উপযুক্ত করে গড়ে তুলতে হবে।
ত্যাগ-কুরবানি :
-সকল অর্জনের মুল হলো ত্যাগ-কুরবানি। ইসলামের সকল বিধান জীবনে মেনে চলার জন্য প্রয়োজন ত্যাগ-কুরবানি। দুনিয়ায় ত্যাগ-কুরবানি ছাড়া জিহাদের কোন অস্তিত্ব নেই।
قُلْ إِنَّ صَلَاتِي وَنُسُكِي وَمَحْيَايَ وَمَمَاتِي لِلَّهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ.
বলো, আমার নামাজ, আমার ইবাদাতের সমস্ত অনুষ্ঠান, আমার জীবন ও মৃত্যু সবকিছু আল্লাহ রব্বুল আলামীনের জন্য। (সূরা আনা'আম : ১৬২)
মন্তব্য